কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কমলগঞ্জের আদমপুর বাজারে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবক বেলাল হোসেন (২৬) বুধবার (২৫ জানুয়ারী) ভোর পৌনে ৬টায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের আমির মিয়ার ছেলে।জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নিয়ে গত ২২ জানুয়ারি বিকেলে আদমপুর বাজারে শাহিনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে বেলালের সাথে একই গ্রামের মৃত বছই মিয়ার পুত্র শাহীন এর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত শাহীন ছুরি দিয়ে বেলালের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় বেলালকে বাঁচাতে বড় ভাই মন্নান মিয়া (৪১) এগিয়ে গেলে তার উপরও হামলা চালায় শাহীন। পরে এলাকাবাসী ছুরিসহ শাহীনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গুরুতর আহত হওয়া বেলাল ও তার বড় ভাই মন্নানকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় বিল্লাল মারা যায়।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, তারা সকলেই আদম ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা মধ্যপ্রাচ্যে লোকজন পাঠায়, বিশেষ করে মহিলা পাঠানোর বিষয়ে তারা জড়িত। কয়েকদিন থেকে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শাহিনের সাথে মন্নান ও বেলালের মনোমালিন্য চলছিল। ঘটনার দিন শাহিনের কাছে তারা দুই ভাই টাকা চাইতে আসলে কথা কাটাকাটির জের ধরে শাহিন দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল জানান, গত কয়েকদিন থেকে তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। বিষয়টি তিনি সমাধান করার কথা বলে রাখলেও তারা না মেনে ঝগড়ায় জড়িত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
কমলগঞ্জ থানার এসআই মহাদেব বাছার বলেন, এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের হয়েছে। ছুরিসহ আটক হওয়া শাহীনকে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছুরিকাঘাত হওয়া বেলালের জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply